আজকের শিরোনাম :

বিমান ছিনতাইচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০১:০১

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। ঘটনার ১১ মাস পর এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

এ মামলার একমাত্র আসামি পলাশ আহমেদ কমান্ডো অভিযানে নিহত হওয়ায় এবং এ ঘটনায় অন্য কারও সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে জানায় তদন্তকারী সংস্থা।

তবে তদন্তে উঠে আসে সাবেক স্ত্রী চিত্র নায়িকা সিমলাকে পুনরায় ফিরে পেতেই বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন পলাশ আহমেদ। আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বিস্ফোরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিমানের অভ্যন্তরে ত্রাস সৃষ্টি করে বিমানযাত্রী, পাইলট ও কেবিন-ক্রুদের জিম্মি এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বিমান ছিনতাই ও ধ্বংসের চেষ্টা করেন তিনি।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ওই বিমানে ১৪৩ যাত্রী ও ৪ শিশু ছিল। কয়েক ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস কমান্ডো অভিযানে ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ নিহত হয়।

এ ঘটনায় পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

সিটিটিসির পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দায়ের করা মামলাটি সত্য। এ মামলার একমাত্র আসামি পলাশ আহমেদ অভিযানে মারা গেছেন। এ মামলায় অন্যকারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মামলায় ৭৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ