আজকের শিরোনাম :

গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১২:১১

গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিনসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঠিকাদারি কাজে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত এবং  ক্যাসিনোসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অনুসন্ধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে দুদকের জনসংযোগ দফতর জানিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদকৃত অপর দুজন হলেন- এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জামাল উদ্দিন ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের (এনডিই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউন মোস্তাফিজ।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্যাসিনোসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ঠিকাদার জিকে শামীমসহ গণপূর্তের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ধারাবাহিকতায় অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, ব্যবসায়ী মো. সাহেদুল হক, এনআর গ্লোবালের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছা. জেসমীন পারভীন ।

কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ