আজকের শিরোনাম :

অর্থপাচার মামলায় এনু-রূপন ৪ দিনের রিমান্ডে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৫২ | আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:১৮

অর্থপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী মোস্তফাকে পাঠানো হয়েছে ৩ দিনের রিমান্ডে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মানিলন্ডারিংয়ের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ার হোল্ডার এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রূপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ক্যাসিনোকাণ্ডে অভিযানের পর পরই তাদের গেন্ডারিয়ার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। তবে তারা আগে থেকেই টের পেয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় সাতটি মামলা হয়। এনু-রূপনের দুই সহযোগী হারুন অর রশিদ ও আবুল কালাম গা ঢাকা দেন। মানিলন্ডারিং আইনের চারটি মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যাসিনোর অন্ধকার জগৎ তাদের কাছে ধরা দেয় অনেকটা আলাদিনের চেরাগ হয়ে। পুরান ঢাকার কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় এনু ও রূপনের নামে একের পর এক হিসাব খোলা হয়। সবচেয়ে বেশি হিসাব খোলা হয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে।

দুই যুবলীগ নেতার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। তবুও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এনু-রূপনের ১৯টি বাড়ি ও একাধিক প্লট রয়েছে।

এদিকে এনামুল হক এনু ও রূপনকে সিআইডি গ্রেফতার করার পরই অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর (শ্যোন এ্যারেস্ট) আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আগামী ১৯ জানুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেফতারের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়ার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর গত ২৩ অক্টোবর পৃথক দুই মামলা দায়ের করে দুদক।

এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

অন্যদিকে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদকের অপর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী মামলা করেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ