ওসি মোয়াজ্জেমের মামলার রায় আজ

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। ফেনীতে পুড়িয়ে হত্যার শিকার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করবেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্চ মাসের ২৭ তারিখে সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রী নুসরাতকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় অভিযোগ করার জন্য থানায় গেলে বিচারের বদলে তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়ে নুসরাতকে নানাভাবে হেনস্তা করেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম।

এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

এরপর মে মাসের ২৭ তারিখে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা প্রতিবেদন দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’ এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

জুন মাসের ১৬ তারিখে দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন ১৭ জুন তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে মোয়াজ্জেম জেলহাজতে আছেন। জুলাইয়ের ১৭ তারিখে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৩১ জুলাই মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে নুসরাতের মা, ভাই ও দুই সহপাঠী সাক্ষ্য দেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি