আজকের শিরোনাম :

রায় সন্ত্রাসীদের জন্য বার্তা : মনিরুল ইসলাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩৭ | আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২১:০৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজানে হামলার মামলার রায়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা একটা ম্যাসেজ পেলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে কেউ সাহস পাবে না।

বুধবার (২৭ নবেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে রায় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসামির মাথায় আইএসের টুপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে আইএসের কোনো টুপি নেই। আইএস’র সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত তাদের কোনো টুপি দেখা যায়নি। তারপরও তাদের কোনো টুপি আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।

পাশাপাশি কারো গাফলতির কারণে এরকম টুপি আসামির কাছে এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, এতো স্বল্প সময়ে এমন একটি চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বিশ্বে বিরল। বহির্বিশ্বে দেখা যায়, এসব অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা গ্রেফতার না হয়ে নিহত হয়ে যায়। সিটিটিসি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করেছে। এটা ডিএমপি তথা বাংলাদেশ পুলিশের একটি বড় সাফল্য।

তিনি আরো বলেন, জঙ্গিদের হলি আর্টিজানে হামলা ছাড়াও আরো হামলার পরিকল্পনা ছিল। তারা আরো হামলার পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কল্যাণপুরে জীবিত এক আসামিকে গ্রেফতার করে হলি আর্টিজান মামলার ফাউন্ডেশন খুঁজে পায়।

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী নিহত হন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির নেতৃত্বে আসা অনেকে নিহত হন এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে রূপনগরের অভিযানে নব্য জেএমবির একজন মাস্টার ট্রেইনার নিহত হয়।

হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলার তদন্তটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তখনো নবাগত এই ইউনিটটি প্রযুক্তিগতভাবে ভালো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। শুধুমাত্র দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্ত শুরু করেছিল সিটিটিসি ইউনিট।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।
 
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। এক বছরের বিচারকালে মামলার মোট ২১১ জন সাক্ষীর ১১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নবেম্বর দিন ধার্য করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ