আজকের শিরোনাম :

সাগিরা হত্যা : তদন্তে আরও ২ মাস সময় পেল পিবিআই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৫

তিন দশক আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে খুন হন সাগিরা মোর্শেদ সালাম। এ হত্যাকান্ডের অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সামনে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সাগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন রিকশায় করে যাওয়ার পথে সাগিরার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় চিনে ফেললে তাকে গুলি করেন দুই ব্যক্তি। পরে হাপসাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনাটি ছিনতাই বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও তদন্তে বেরিয়ে আসে, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, যার পেছনে ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব। এখন বিষয়টি পিবিআই তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ করেছে পিবিআই।

অধিকতর তদন্ত শেষ করতে আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ২৬ জুন এই মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। আজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের সময় বৃদ্ধি করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান। বিকাল ৫টায় সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় ওই দিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজন সাক্ষীর। সাক্ষ্যে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মারুফ রেজা। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়। দীর্ঘ সময় পর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ