আজকের শিরোনাম :

জাল মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরি : ১৬ বছর কারাদণ্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৭

মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে সহকারী সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেয়ার মো. মনিরুজ্জামানকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও মরিয়ম বেগম ওরফে ময়না বেগম দম্পতির ছেলে।

রায় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আদালতের দুদকের পাবলিক  প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম জানান,  আদালত ১৬ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৭ বছর, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর এবং জাল বলে জেনেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ চাকরি পেতে ব্যবহার করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া রায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের  আদেশ দিয়েছেন। তবে রায়ে সব ধারার সাজা একযোগে কার্যকর মর্মে আদেশ থাকায় আসামিকে ৭ বছর কারাদণ্ডই ভোগ করতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা গণনা শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার আশায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন মনিরুজ্জামান। এর অংশ হিসেবে আবেদনপত্রে মিথ্যা স্থায়ী ঠিকানা ও বাবা মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ বানিয়ে পিএসসিতে জমা দেন। ফলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় পিএসসির সুপারিশ পান। ২০১৪ সালের ১১ মে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে চাকরি পান। এ সংক্রান্ত অভিযোগ দুদকে এলে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। উপপরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। পরবর্তী সময় ২০১৬ সালে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হয়। ওই বছরই আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ