সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে দুদকের অবৈধ সম্পদের মামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৪
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গ্রেফতার আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম। দুদকের আরেক ডিডি সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সম্রাটকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত। একই দিন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানকে মাদক আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।
গত ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরাণীগঞ্জের কারাগারে।
আর কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
এ ছাড়া ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান দুজনকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ