চট্টগ্রামে বিভিন্ন বাসায় চুরির মূল হোতা নারায়নসহ আটক ৬
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৮, ১৮:৪৯ | আপডেট : ২৪ জুন ২০১৮, ১৯:০৭
চট্টগ্রাম, ২৪ জুন, এবিনিউজ : চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে প্রথমবারের মত আটক হয়েছে নগরীর প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার বাসা চুরির মূল হোতা স্বর্ণ ব্যবসায়ি নারায়ণ বণিক। নারায়ন নগরীর আলকরণ এলাকার সোমা জুয়েলার্সের মালিক। তার নেতৃত্বে রয়েছে গ্রীল কাটা চোর চক্রের একাধিক সদস্য।
তবে নারায়ণ বণিকের চুরি হওয়া সকল মালামালের প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ নেই। তার মূল টার্গেট স্বর্ণালংকার লুট। এজন্য সে চোর গ্রুপকে লিড দেয়। এমনকি চোরদের কাছে কোন কাজ না থাকলে নারায়ন এদেরকে লাইন খরচ দিয়ে চুরির কাজে উৎসাহিত করে আসছে।
গত কয়েকদিনের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া গ্রীল কাটা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায় ঈদের বন্ধে নগরীর আলকরণ এলাকায় সংগঠিত দুটি চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে এচোর চক্রকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে সদরঘাট থানা পুলিশের একাধিক টিম।
অভিযানে প্রথমবারের মত আটক করা হয় নগরীর প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার বাসা চুরির মূল হোতা নারায়ন বণিকসহ চোর চক্রের ৬ সদস্যকে। আটক অন্য ৫ চোর হলো মো. বশর প্রকাশ বশির বাচ্চু (৪৬) মো. জসিম উদ্দিন জসিম (৪২) মো. রুবেল (২৭), মো. জসিম (৩৫) ও মো. ওসমান গনি (২৯)।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ আব্দুর রউফ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ১৩ জুন রাতে সদরঘাট থানার পিসি সেন লেন সাততলা গলির হাজী জামাল উদ্দিনের বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় চোরের দল গ্রীল কেটে প্রবেশ করে আলমীরা ভেঙ্গে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি দামী মোবাইল সেট ও নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ সর্ব মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এছাড়া একই থানার অভয়মিত্র ঘাটের বরফ গলির শাহজাহান চৌধুরীর বাড়ীর বসত ঘরে একই কায়দায় গ্রীল কেটে প্রবেশ করে চোরের দল ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় মামলার পর পুলিশ অভিযানে নামে এবং এ চক্রের মূল হোতা স্বর্ণ ব্যবসায়ী নারায়ন বনিকসহ ৬ জনকে আটক করে।
পুলিশী অনুসন্ধানে জানা যায়, চোরচক্র সংঘটিত ভাবে সন্ধার পর চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ায় এবং লক্ষ্য করে কোন ঘরের লাইট বন্ধ। লাইট বন্ধ দেখলে ঐ ঘরকে টাগেট করে প্রথমে রেকি করে পরে সুযোগ বুঝে বিল্ডিং এর পাইপ বেয়ে উঠে কিংবা অন্য ছাদ থেকে এসে কিংবা দারোয়ান অসাবধানতার কারনে সিঁড়ি দিয়ে উঠে জানালার গ্রীল কেটে অথবা দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা চুরি করে। দুটি বাড়ী থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকার আলকরনের সোমা জুয়েলাসের মালিক আটক নারায়ন বনিক এর কাছে বিক্রি করে। চোরদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্য দিয়ে নারায়ন বণিক স্বর্ণ ক্রয় করে নগরীর হাজারী গলিতে স্বর্ণালংকারগুলো গলানোর পর বিক্রি করে।
নারায়ন বাবু এই চোর গ্রুপকে লিড দেয় এমনকি চোরদের কাছে কোন কাজ না থাকলে নারায়ন এদেরকে লাইন খরচ দেন বলে জানিয়েচেন সদর ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আসামীরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে আলকরনের বাসা দুটি তারাই সংঘবদ্ধভাবে চুরি করেছে।
ওসি বলেন, এইভাবে গত ১০/১২ বছরে তারা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অনুমান ২০০০/২৫০০ বাসা চুরি করেছে কিন্তু এই প্রথম গ্রীল কাটা চোর গ্রুপটি সদরঘাট থানায় গ্রেফতার হয়। আসামীদের কাছ থেকে গ্রেফতারকালীন সময়ে ২টি রেঞ্জ,১টি কাটার, ৩টি স্কুভ ড্রাইভার, ও দুটি কোরাবারী উদ্বার করা হয়। রবিবার ৬ চোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার কথা জানিয়েছে ওসি।
এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা
তবে নারায়ণ বণিকের চুরি হওয়া সকল মালামালের প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ নেই। তার মূল টার্গেট স্বর্ণালংকার লুট। এজন্য সে চোর গ্রুপকে লিড দেয়। এমনকি চোরদের কাছে কোন কাজ না থাকলে নারায়ন এদেরকে লাইন খরচ দিয়ে চুরির কাজে উৎসাহিত করে আসছে।
গত কয়েকদিনের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া গ্রীল কাটা চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায় ঈদের বন্ধে নগরীর আলকরণ এলাকায় সংগঠিত দুটি চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে এচোর চক্রকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে সদরঘাট থানা পুলিশের একাধিক টিম।
অভিযানে প্রথমবারের মত আটক করা হয় নগরীর প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার বাসা চুরির মূল হোতা নারায়ন বণিকসহ চোর চক্রের ৬ সদস্যকে। আটক অন্য ৫ চোর হলো মো. বশর প্রকাশ বশির বাচ্চু (৪৬) মো. জসিম উদ্দিন জসিম (৪২) মো. রুবেল (২৭), মো. জসিম (৩৫) ও মো. ওসমান গনি (২৯)।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ আব্দুর রউফ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ১৩ জুন রাতে সদরঘাট থানার পিসি সেন লেন সাততলা গলির হাজী জামাল উদ্দিনের বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় চোরের দল গ্রীল কেটে প্রবেশ করে আলমীরা ভেঙ্গে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি দামী মোবাইল সেট ও নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ সর্ব মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
এছাড়া একই থানার অভয়মিত্র ঘাটের বরফ গলির শাহজাহান চৌধুরীর বাড়ীর বসত ঘরে একই কায়দায় গ্রীল কেটে প্রবেশ করে চোরের দল ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় মামলার পর পুলিশ অভিযানে নামে এবং এ চক্রের মূল হোতা স্বর্ণ ব্যবসায়ী নারায়ন বনিকসহ ৬ জনকে আটক করে।
পুলিশী অনুসন্ধানে জানা যায়, চোরচক্র সংঘটিত ভাবে সন্ধার পর চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ায় এবং লক্ষ্য করে কোন ঘরের লাইট বন্ধ। লাইট বন্ধ দেখলে ঐ ঘরকে টাগেট করে প্রথমে রেকি করে পরে সুযোগ বুঝে বিল্ডিং এর পাইপ বেয়ে উঠে কিংবা অন্য ছাদ থেকে এসে কিংবা দারোয়ান অসাবধানতার কারনে সিঁড়ি দিয়ে উঠে জানালার গ্রীল কেটে অথবা দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা চুরি করে। দুটি বাড়ী থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকার আলকরনের সোমা জুয়েলাসের মালিক আটক নারায়ন বনিক এর কাছে বিক্রি করে। চোরদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্য দিয়ে নারায়ন বণিক স্বর্ণ ক্রয় করে নগরীর হাজারী গলিতে স্বর্ণালংকারগুলো গলানোর পর বিক্রি করে।
নারায়ন বাবু এই চোর গ্রুপকে লিড দেয় এমনকি চোরদের কাছে কোন কাজ না থাকলে নারায়ন এদেরকে লাইন খরচ দেন বলে জানিয়েচেন সদর ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, আসামীরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে আলকরনের বাসা দুটি তারাই সংঘবদ্ধভাবে চুরি করেছে।
ওসি বলেন, এইভাবে গত ১০/১২ বছরে তারা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অনুমান ২০০০/২৫০০ বাসা চুরি করেছে কিন্তু এই প্রথম গ্রীল কাটা চোর গ্রুপটি সদরঘাট থানায় গ্রেফতার হয়। আসামীদের কাছ থেকে গ্রেফতারকালীন সময়ে ২টি রেঞ্জ,১টি কাটার, ৩টি স্কুভ ড্রাইভার, ও দুটি কোরাবারী উদ্বার করা হয়। রবিবার ৬ চোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার কথা জানিয়েছে ওসি।
এই বিভাগের আরো সংবাদ