পুলিশের ওপর বোমা হামলা : নব্য জেএমবির ২ সদস্য গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:০৯ | আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:১৭
রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিটিসি)।
রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান আজ সোমবার সকালে বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজন নব্য জেএমবি সদস্য। আজ সংবাদ সম্মলন করে তাদের পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।’
এ বছর ২৯ এপ্রিল রাতে গুলিস্তানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা হলে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, লিটন চৌধুরী ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মো. আশিক আহত হন। এদিকে গত ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের যাত্রাপথে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল আহত হন।
চলতি বছর পুলিশের ওপর আরও তিনটি হামলা ও হামলাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়িতে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটলে এসআই রাশেদা খাতুন এবং এক রিকশাচালক আহত হন।
এর পর ২৩ জুলাই খামারবাড়ি এবং পল্টনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একই সময় দুটি কার্টনে বোমার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রতিটি ঘটনার পরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকারের খবর গণমাধ্যমে এলেও পুলিশ তা বরাবরই নাকচ করে বলেছে, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এ দেশীয় উগ্রপন্থিরাই।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তক্কার মাঠ এলাকায় জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান চালিয়ে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ফরিদউদ্দিনকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষকের ছোট ভাই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক ছাত্র জামালউদ্দিনকে তারা খুঁজছে। তাদের বাবা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। ওই সময় শিক্ষক ফরিদউদ্দিনের স্ত্রীকে আটক করা হলেও তার সঙ্গে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা নব্য জেএমবির সদস্য বলে তারা ধারণা করছেন। ওই বাড়ি থেকে শক্তিশালী বোমা (আইইডি), খেলনা বন্দুক (টয় গান), সুইসাইডাল ভেস্ট ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে সুইসাইডাল ভেস্টের ভেতর কোনো বিস্ফোরক ছিল না, এটা শুটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। তাদের মতে, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া উপকরণ দিয়ে ১০ থেকে ১৫টি আইইডি বানানো যেতে পারে।
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলায় যে ধরনের বোমা ব্যবহৃত হয়েছে, অভিযানস্থল থেকেও বোমা তৈরির একই ধরনের উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যোগাযোগ থাকতে পারে- এমন ধারণা করে পুলিশ।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ