আজকের শিরোনাম :

আবরার হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে মামলার সাক্ষী হওয়ার শর্ত!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৪৮

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বুয়েটে। এ উত্তেজনার মূল কারণ প্রভোস্টের কক্ষে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ। অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবিতে অনড়। শিক্ষার্থীরা সময়নিউজকে জানিয়েছেন, তাদের প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা ছাত্রদের মামলার সাক্ষী হতে হবে।

অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। হল কর্তৃপক্ষ প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে চায়। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর পাঁচজন ছাত্র সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারবেন বলে জানা যায়। পাঁচজন শিক্ষার্থী ফুটেজ দেখার জন্য রাজি হলে তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা ফুটেজটি দেখবেন তাদের মামলার সাক্ষী হতে হবে। 
শিক্ষার্থীরা এমন দাবির বিপরীতে বলেছেন, দফায় দফায় দর কষাকষির অবসান করে সত্যটা বেরিয়ে আসুক।

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে ভোরে শের-ই-বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গা থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও তার পরিবার জানায়, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটরডেম কলেজে পড়েন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন ফাহাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ধারণা করছি রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি ভোরে। তার পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ