আজকের শিরোনাম :

তিন মামলা দিয়ে জি কে শামীমকে গুলশান থানায় হস্তান্তর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:১৬

টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগের কথিত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে র‌্যাব। একইসাথে তার সাত বডিগার্ডকেও থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আজ শনিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘র‌্যাব তিনটি অভিযোগ দিয়েছে। এর একটি মাদক আইনে, একটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এবং আরেকটি অস্ত্র আইনে।’

এসব মামলার আসামি হিসেবে জি কে শামীমসহ আটজনকে রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।

চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ থাকা রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা শামীমকে ধরতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সাদা পোশাকে শুরু হয় র‍্যাবের অভিযান। বিকেল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষে শামীমসহ আটজনকে আটক করার কথা জানায় র‍্যাব।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জি কে শামীমকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।

সারওয়ার আলম বলেন, তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে, যদিও তার মা বড় কোনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বাকি টাকা উনার নামে। ব্যবসায়ী হিসেবে নগদ টাকা থাকতেও পারে। তবে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মাদক পাওয়া গেছে, যেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি তার নগদ টাকা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। এটা তিনি কোর্টের সামনে প্রমাণ করবেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ