আজকের শিরোনাম :

বাগমারায় মা-ছেলে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩৪ | আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৩২

রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী ও তার ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার দেবরসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। 

মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল হোসেন মাস্টার, হাবিবুর রহমান হাবিব ও চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাক। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল কাফি, রুহুল আমিন, দ রুস্তম আলী ও মনির।

রায়ের পর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এ বছরের এপ্রিলেই মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটিতে মোট ৫১ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এর পর গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

মামালার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারার দেউলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আকলিমা বেগমের বড় ছেলে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় নাটকীয় মোড় নেয় এ জোড়া খুনের তদন্ত। তিন দফা বদল করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা।

সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। এর পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে আদালতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী দুজন।

তারা হলেন- নিহত আকলিমা বেগমের দেবর আবুল হোসেন মাস্টার এবং হাবিবুর রহমান হাবিব। আবুল হোসেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দেউলা রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও তিনি। আর হাবিবুরের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামে। বাকিরা ভাড়াটে খুনি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ