নুসরাত হত্যায় মাদ্রাসা কমিটির অবহেলা পায়নি তদন্ত কমিটি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১৫:০৬
আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসা কমিটির তৎকালীন সভাপতি এনামুল করিমের দায়িত্বে কোনো অবহেলা পায়নি তদন্ত কমিটি।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় তৎকালীন গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরে পিকে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে তদন্ত করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান।
এ প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, ‘‘নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা জেল হাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পিকে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইন সঙ্গত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরীত্য রয়েছে। পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পারিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো.ওয়াহিদুজ্জামানের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত ‘এডিএম পিকে এনামুল করিম এর নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি’ মর্মে দেওয়া বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য ও যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়।’’
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ