আজকের শিরোনাম :

জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে চুরির মামলা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০১৯, ২১:৩৬

সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভাঙচুর, মারধর ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে বৃহস্পতিবার সকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামি ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক ড. আব্দুল কাদের, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, সহকারী রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফা বাবু, পিএইচএ ভবনের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, মো. সোহেল, স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আওলাদ হোসেন, মো. রাসেল, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, ডা. রেজাউল হক, ইসরাফিল, জুয়েল রানা, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম, আব্দুস সামাদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয় উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহিদ, গবেষক সেন্টু ফার্মাসি বিভাগের ইনচার্জ ইকরাম, আরিফ ও অন্তুসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন।

মামলার বাদী নাসির উদ্দিন বলেন, রাতের আঁধারে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে নির্মিত প্রায় ১৪টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করেছি। এখন পুলিশ বিষয়টি দেখভাল করবে এবং আইন অনুযায়ী আমি এর বিচার প্রার্থনা করছি।

তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গণস্বাস্থ্যের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনে প্রবেশ গেটের দু’পাশে পাথালিয়া মৌজার জমি দীর্ঘদিন যাবৎ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভোগ-দখল করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল, খাজনা খারিজও হালনাগাদ রয়েছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা  নাসির উদ্দিন উল্লেখিত জমি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাবি করে গত বছর জোরপূর্বক ভাঙচুর চালিয়ে জবর দখল করে। এ সময় পিএইচএ ভবনের নির্মিত গেট এবং গেট সংলগ্ন নিরাপত্তা ভবনও ভাঙচুর চালিয়ে জবরদখল করে সেখানে স্থাপনা তৈরি করে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্যের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে নাসির উদ্দিন নিজেই লোকজন দিয়ে স্থাপনাটি ভাঙচুর করে হয়রানির উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ