আজকের শিরোনাম :

টাকা পাওয়ার পর মালিকানা ছাড়বে মুন সিনেমা হল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১২:১২

পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার আলোচিত মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে সরকারকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে ইটালিয়ান মার্বেল কোম্পানি। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে সম্পত্তির মূল্য বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার পর মুন সিনেমা হল ও তাদের সম্পত্তির মালিকানা ও অধিকার মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আগামী ২২ আগস্ট এ অঙ্গীকারনামা লিখিতভাবে দাখিল করার জন্য আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ইটালিয়ান মার্বেল কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

এর আগে গত ২৮ জুলাই পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার আলোচিত মুন সিনেমা হলের সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মুন সিনেমা হলের মালিককে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

মুন সিনেমা হলের মালিক ছিল ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ইটালিয়ান মার্বেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম এ সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে সরকার কোনো সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলা হয়। ইটালিয়ান মার্বেল ২০০০ সালে হাইকোর্টে ওই ফরমানসহ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করেন।

২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। মোশতাক, সায়েম ও জিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ইটালিয়ান মার্বেলকে মুন সিনেমা হল ফেরত দিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই সম্পত্তি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।

অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে এই মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই প্রতিবেদন অনুসারে মুন সিনেমা হল মালিককে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ