আজকের শিরোনাম :

ময়মনসিংহে বন্দুকযুদ্ধে ‘ধর্ষণ মামলার’ আসামিসহ নিহত ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১০:২২

ময়মনসিংহের সদরে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম (২০) আরেকজনের নাম জনি মিয়া (২৬)। 

রবিবার দিনগত রাতে শহরতলির ফুলবাড়িয়ার কালাদহ ঈদগাহ মাঠ এলাকায় জহিরুল ও চরপুলিয়ামারীতে জনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

নিহত জহিরুল ইসলাম উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। জনি মিয়া শহরের পাটগুদাম এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাত আড়াইটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়িয়ার কালাদহ এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে ধরতে গেলে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠ এলাকায় যাওয়ার পর টের পেয়ে তার সঙ্গীয়রা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহিরুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, গত ৩ আগস্ট ফুরবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনমসিংহ সদরের চরপুলিয়ামারি এলাকায় কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন খবরে রাত ১২টার দিকে অভিযান চালান তারা। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনিকে উদ্ধার করা হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনাস্থল থেকে ২০ গ্রাম হেরোইন ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জনির নামে তিনটি মাদকসহ ১১টি মামলা রয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ