রিফাত হত্যাকাণ্ডে কী ব্যবস্থা, দুপুরের মধ্যে জানতে চান হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৯, ১২:৫৬ | আপডেট : ২৭ জুন ২০১৯, ১৩:১১
বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফকে (২৫) স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দুপুর ২টার মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে রিফাত হত্যা নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গণমাধ্যমে দিনেদুপুরে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস আদালতে বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, এখনো মামলা হয়নি। এমন অপরাধের ঘটনার বিচার যদি কোনো কারণে বিলম্ব হয় ও বিচারহীন হয়, তা হলে আরও এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তবে বিচার হবে আশা করছি।’
আদালত বলেছেন, সারাদেশের সবাই এ ঘটনায় মর্মাহত। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে? প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষটাকে মারল। একজন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসল না। জনগণকে আপনি কী করবেন? বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না। ভিডিও করল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসল না। এটি জনগণের ব্যর্থতা। তাই এই সামাজিক সচেতনতা তৈরি করবে কে? দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেউ প্রতিবাদ করল না। পাঁচজন মানুষ অন্তত এগিয়ে এলে হয়তো তারা সাহস পেত না। হয়তো তারা (দুর্বৃত্তরা) ক্ষমতাবান, হয়তো মানুষ ভয়ে এগিয়ে আসেনি।
এ সময় আদালত জানতে চান, মামলা হয়েছে কিনা। উপস্থিত এক আইনজীবী বলেন, নিহত রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে ওই তথ্য বেলা ২টায় আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের প্রাণপণ বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনো চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ