আজকের শিরোনাম :

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৯, ১১:২৭

প্রসূতি মায়ের অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে যাবতীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। 

পরে তিনি জানান, আবেদনটি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করেছে।

সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে নানা ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে সেভ দ্য চিলড্রেন এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮ সালে যত সিজারিয়ান হয়েছে তার ৭৭ শতাংশই চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় ছিল। তা ছাড়া এতে মা ও শিশু উভয়কেই অস্ত্রোপচার ঝুঁকিতে পড়তে হয়। শিশু জন্মের অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ফলে ইনফেকশন ও মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অঙ্গহানি, জমাট রক্ত ইত্যাদির কারণে মায়েদের সুস্থতা ফিরে পেতে প্রাকৃতিক প্রসবের তুলনায় অনেক দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশি বাবা-মায়েরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে খরচ করেছেন প্রায় চার কোটি টাকার বেশি। জনপ্রতি গড়ে যার পরিমাণ ছিল ৫১ হাজার টাকার বেশি। সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানের হার বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক হারে বেশি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যত শিশু জন্ম নেয় তার ৮০ শতাংশই হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।

সংস্থাটি আরও বলছে, ২০১৮ সালে যত সিজারিয়ান হয়েছে তার ৭৭ শতাংশই চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু তার পরও এমন সিজারিয়ান হচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার ৪ থেকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন এমন অপ্রয়োজনীয় প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার ঠেকাতে চিকিৎসকদের ওপর নজরদারির পরামর্শ দিয়েছে। এ প্রবণতার জন্য সংস্থাটি আংশিকভাবে বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা খাতের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে।

সংস্থাটি বলছে, কিছু অসাধু চিকিৎসক এর জন্য দায়ী, যাদের কাছে সিজারিয়ান একটি লাভজনক ব্যবসা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ