আজকের শিরোনাম :

হাইকোর্টের তলবে হাজির নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০১৯, ১২:৫৩

হাইকোর্টের তলবে আদালতে হাজির হয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় প্রমাণিত ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বাজার থেকে সরাতে না পারার ব্যাখ্যা দেবেন তিনি।

আজ রবিবার সকালে তিনি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চে হাজির হন। আইনজীবী কামাল উল আলম ও এ এম আমিন উদ্দিনও তার রয়েছেন।

হাইকোর্টের এই বেঞ্চ গত ২৩ মে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে আদালতে হাজির হয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন।

কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সেদিন রুলও জারি করেছিল হাই কোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

গত ২ মে শিল্প মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিএসটিআই রোজার আগে বাজার থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ১৮টি কোম্পানির ৫২টি নিম্নমানের পণ্য চিহ্নিত করেছে।

এর পর এসব খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার, জব্দ ও মান উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১২ মে বিএসটিআইর মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ১৮টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া বাজারে থাকা এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে দ্রুত বাজেয়াপ্ত, অপসারণ করে ধ্বংস এবং মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

এসব নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী গত ২৩ মে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু সেখানে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতির তথ্য না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

বিচারক বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেশের কোথাও কোনো দোকান থেকে একটি প্যাকেটও সরায়নি। এ সংক্রান্ত একটি শব্দও তাদের প্রতিবেদনে নেই।’

এর পর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে ১৬ জুন আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি জারি করা হয় আদালত অবমাননার রুল।

এদিকে যে ৫২টি পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল বিএসটিআই, কয়েক ধাপে পরবর্তী পরীক্ষার তার মধ্যে ২৬টিকে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গত ১১ জুন দ্বিতীয় দফায় ২২টি পণ্যকে ‘নিম্ন মানের’ বলে ঘোষণা করে জাতীয় মান নির্ধারণকারী সংস্থা বিএসটিআই।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ