ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় এনামুল ও রাজ্জাক রিমান্ডে

ভূমধ্যসাগর দিয়ে পাড়ি মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার এনামুল হক ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু এনামুলের ছয় ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাকের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিচারক এনামুলের ছয় ও রাজ্জাকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড় ছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা ফেঞ্চুগঞ্জের বিল্লাল হোসেন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জীবন বদলের আশা নিয়ে দালালদের আট থেকে দশ লাখ টাকা দিয়ে সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে গত ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ প্রকাশ করা হয়। নিহত ও নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত ২২ জনের বাড়ি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে; চারজনের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জে।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন গত ১৬ মে রাতে সিলেটের এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।

সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের এনামুল হক, একই উপজেলার হাওরতলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জায়েদ আহমেদ, ঢাকার রাজ্জাক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুর ইসলাম ওরফে গুডলাক এবং তাদের ১০-১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগীকে মামলায় আসামি করা হয়।

ওই রাতেই এনামুলসহ তিন মানবপাচারকারীকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর