আজকের শিরোনাম :

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ, অর্থদণ্ড স্থগিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১০ | আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪১

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানিকালে স্থগিত করে এ মামলার যাবতীয় নথি ২ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া জামিন চেয়ে খালেদার করা আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আজ আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলামকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে ঢাকা শহরে থাকা ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করার আদেশ দেন আদালত।

একই বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামিন ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেন আদালতে। এক ইসঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ৫ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ওই রায় ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়া পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তবে বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ