আজকের শিরোনাম :

মানবতাবিরোধী অপরাধ : নেত্রকোনার ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:১১

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার সোহরাব ফকির (৮৮) ও হেদায়েত উল্লাহকে (৮০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী, তাপস কান্তি বল প্রমুখ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান।

এর আগে গত ৭ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

দুই আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হেদায়েত উল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি পলাতক।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিশ্বের মানুষ এখন গণহত্যার বিরুদ্ধে সক্রিয় ও সচেতন। ট্রাইব্যুনাল আগেও উচ্চারণ করেছেন, এবারও উচ্চারণ করলেন- গণহত্যা আর না।

আসমিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আব্দুস শকুর খান রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

এই রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামিরা। তবে সে সুযোগ নিতে হলে পলাতক হেদায়েত উল্লাহ ওরফে আঞ্জুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আসামি ছিলেন তিনজন। তারা হলেন শান্তি কমিটির সদস্য হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০), রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)। তিনজনের বাড়িই নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথরপাড়ায়। অন্যদিকে, ছোরাপের বসবাস ছিল একই নেত্রকোনার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে।

২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু। হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি ও এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু আপন দুই ভাই। এর আগে গত ৭ মার্চ মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান। জানা যায়, ৪০ জনের সাক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে আটক অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেছেন। এসবের ভিত্তিতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ