আজকের শিরোনাম :

খালেদার আপিল গ্রহণের বিষয়ে শুনানি আগামী মঙ্গলবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪০

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আপিলটি আজকে অ্যাডমিশন হেয়ারিংয়ের ( আপিল গ্রহণের বিষয়ে শুনানির) জন্য গিয়েছিলাম। আদালত আগামী মঙ্গলবার আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এটা আগামী মঙ্গলবার অ্যাডমিশন হেয়ারিং হবে। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এ আপিল করেন বেগম খালেদা জিয়া।

বিচারিক আদালতের দেওয়া ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার আপিলে সাজার রায় বাতিল এবং মামলা থেকে খালাস ও খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার বাকি সব আসামিকে একই সাজা দেয়া হয়। এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষনা করেন আদালত। আর মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়।
 
ওই রায়ে বলা হয়, সার্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণে যা মনে হয়, প্রত্যেক আসামিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এতে তারা সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এ কারণে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকেই সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অন্য আসামিরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।

ওই মামলায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ। মামলার বিচার চলাকালীন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া অনাস্থা দিলে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতে মামলাটি আড়াই বছর ধরে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে ছিল।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ