‘তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হবে’
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৫ | আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪৪
ব্রিটেনে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জব্দ করা তিনটি ব্যাংক হিসাবের টাকা পাচারকৃত প্রমাণ হলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
অন্যদিকে এ অর্থ চূড়ান্তভাবে পেতে আদালতের নির্দেশই যথেষ্ট নয়, আইনি প্রক্রিয়া গতিশীল করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দু' দেশের বিচারপ্রক্রিয়া আর দেনদরবার শেষে ২০১২ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আরাফাত রহমান কোকোর ব্যাংক হিসাবে পাচার হওয়া প্রায় সাড়ে বিশ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত আনে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরের বছর জানুয়ারিতে ঐ টাকার লভ্যাংশ ২৩ হাজার ৮০০ সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ।
এবার যুক্তরাজ্যের স্যানটেন্ডার ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিনটি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে ব্রিটেনের এফআইইউ।
তিনটি একাউন্টে প্রায় ৬০ হাজার পাউন্ড বাংলাদেশে থেকে পাচার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ টাকা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে আনতে অর্থ পাচার আইনে বাংলাদেশের আদালতের আদেশ মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্সির মাধ্যমে পৌঁছানো হবে স্যানটেন্ডার ব্যাংকের সিইওর কাছে।
এছাড়া এ টাকা পাচারকৃত প্রমানিত হলে ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা নেবেন দু' দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। ততদিন পর্যন্ত তিনটি হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে।
দুদকের হাইকোর্ট আইনজীবী খোরশেদ বলেন, আদালত দেশে বা দেশের বাইরে অবস্থিত মানিলন্ডারিং সম্পর্কিত কোনো অর্থ থাকলে সেটা ফেরত আনতে আদেশ নিতে পারে। দতন্তে যদি প্রমাণিত হয় তাহলে মামলা হবে। তখন আদালত আদেশ দেয়। আদালত যদি আদেশ দেয় তাহলে আমরা টাকা উদ্ধার করতে পারবো।
অর্থনীতিবীদ ইব্রাহীম খালিদ বলেন, রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকলে আর আইনি প্রক্রিয়া গতিশীল হলে দ্রুত এই টাকা ফেরত আনা সম্ভব।
ইব্রাহিম খালিদ বলেন, আমরা সহায়তা না করলে আমাদের দেশ থেকে একটি টাকাও কেউ নিতে পারবে না আবার আমরাও নিতে পারবো না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় বিষয় হচ্ছে চিহ্নিতকরণ সমস্যা। এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টিম কাজ করে। তারেক রহমানের ক্ষেত্রে দেরি হবে না। কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে।
এর আগে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খানের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক হংকং এর অ্যাকাউন্টে ১৬ মিলিয়ন হংকং ডলার হাইকোর্টের আদেশে ফ্রিজ করা হয়।
বিচারিক আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফের আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। বর্তমানে তা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এবিএন/মমিন/জসিম