নুসরাত হত্যা মামলায় কাউন্সিলর মাকসুদ ৫ দিনের রিমান্ডে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪১
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার ৪ নম্বর আসামি কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফউদ্দিন আহমেদের আদালত এ আদেশ দেন।
পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে সোমবার সকালে ফেনী জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কাউন্সিলর মাকসুদ সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। একই সঙ্গে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্য। নুসরাত হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ১২ এপ্রিল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মাকসুদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত।
এর আগে ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ