আজকের শিরোনাম :

নুসরাত হত্যা: দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪৬ | আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০১৯, ২২:১৭

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এমপিও স্থগিত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ-উদ-দৌলা ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফসার উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অধিদফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

 আদেশে বলা হয়, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলা (নম্বর-২৪, তারিখ- ২৭/০৩/২০১৯) ও হত্যা মামলায় (নম্বর- ১০, তারিখ- ০৮/০৪/২০১৯) মাদরাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলা এবং একই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফসার উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ায় তাদের এমপিও স্থগিত করা হলো।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিউদ্দিন গণমাধ্যামকে জানান, অধ্যক্ষ ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হত্যা মামলা দায়ের এবং তারা গ্রেফতার হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাদের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। ওই দুই শিক্ষকের সব ডাটা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ইএমআইএস (ইলেকট্রনিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) সেলে থাকায় মাউশি মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি নামের ওই ছাত্রী। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে রাফি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।

সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে নুসরাতের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

 এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় রোববার থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাদরাসার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও অনির্দিষ্টকালের জন্য হোস্টেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মাদরাসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা হয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকালে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি করেন ভিকটিমের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান। মামলার সংশোধিত এজাহারে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মুখোশধারী চারজন এবং তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত মোট নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ