আজকের শিরোনাম :

৫ম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৮, ১১:৪০

ঢাকা, ৩০ মে, এবিনিউজ : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগসহ বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার তদন্তে আবদুল হাই বাচ্চুকে ৫ম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেসিক ব্যাংকের এ সাবেক চেয়ারম্যানের  জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। 
তদারকি কর্মকর্তা ও টিম প্রধান সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ মে দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের পাঠানো নোটিশে তাকে আজ বুধবার হাজির হতে বলা হয়।

এর আগে গত ৭ মে ও ১৫ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে দুই বারেই অসুস্থতার অজুহাতে সময় আবেদন করেন বাচ্চু। ৭ মে সময় আবেদন করলে দুদক তাকে ১৫ মে পুনরায় তলব করে।

একইভাবে ১৫ মে জিজ্ঞাসাবাদে না এসে চিঠি পাঠিয়ে ২ মাসের সময় আবেদন করেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। পরে ১৫ মে দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের পাঠানো নোটিশে তাকে আজ বুধবার তলব করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আবদুল হাই বাচ্চুর অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হয়। তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন ও অর্থ পাচারের অভিযোগেরও অনুসন্ধান করছে দুদক।

এর আগে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত বছরের ৪ ও ৬ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ও ৫ মার্চ চার দফায় দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ২৪টি মামলার বিষয়ে বাচ্চুকে তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক।

এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী এবং ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়।

এরপর বংশাল ও মতিঝিল থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬২টি মামলা করেছে দুদক।

তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বাচ্চুকে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়ন হয়। কিন্তু, ২০১৪ সালে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে চাপের মুখে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করেছিল, বাচ্চুর নেতৃত্বেই ব্যাংকের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ