কুষ্টিয়া ও মুন্সীগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

কুষ্টিয়া ও মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী ও মুন্সীগঞ্জে নিহত ব্যক্তি জলদস্যু বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল মালিথা (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

পুলিশের দাবি, তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

তিনি দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসনা ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, গড়াই নদীর চরে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে- এমন সংবাদে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই পাশ থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬শ পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও পুলিশ দাবি করছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু ও ৬ মামলার আসামি হুমায়ূন (৩০) নিহত হয়েছেন।

নিহত হুমায়ূন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার কালিরচর গ্রামের মৃত মোহন ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হুমায়ূনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় সদর থানাপুলিশ। এ সময় মুন্সীগঞ্জের মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের নিচে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হুমায়ূন বাহিনীর ডাকাত সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে হুমায়ূনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে হুমায়ূন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসান ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, রামদা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য এসআই দেবাশীষ কুণ্ডু ও এএসআই মিনহাজ আহত হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এবিএন/সাদিক/জসিম