নিজ বাসায় ইডেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ খুন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৩ | আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:১০
ইডেন মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ঢাকা কলেজের সামনের বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ার’ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে বাসার গৃহকর্মীরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ধারণা করছে, তারাই মাহফুজাকে হত্যা করেছে।
রমনা বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর পলাতক দুই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দারাও কাজ করছে।
স্বজনরা জানান, মাহফুজার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহফুজা।
মাহফুজার স্বামী ইসমত কাদির গামা বলেন, ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম না।
তিনি জানান, অবসরের পর মাহফুজা বাসাই থাকতেন।
পুলিশ জানায়, সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে স্বামী ইসমাত কাদির গামার সঙ্গে থাকতেন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। ইসমাত কাদির গামা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন, পুরো বাসা লণ্ডভণ্ড। তার স্ত্রী মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, মাহফুজা চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই বাসায় যে দুজন গৃহকর্মী ছিল তারা মাহমুদা চৌধুরীকে হত্যার পর মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বামী ইসমাত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। স্বজনেরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি। ঘটনার পর থেকে তারা দুইজন পলাতক রয়েছে। স্বজনেরা আরও জানান, নিহত মাহফুজা চৌধুরীর দুই সন্তানের একজন অভিক, যিনি সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরে মেজর হিসেবে যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত আর অন্য ছেলে অমিত ইউসিবিএল ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি ইন্দিরা রোডে থাকেন। স্বজনেরা জানান, মাহফুজা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে তিনি অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও আরও তিন বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে তিনি অবসর নেন। ৩৫ মিরপুর রোডে অবস্থিত সুকন্যা টাওয়ারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৬ তলার ডুপ্লেক্স ওই ফ্ল্যাটে অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বজনদের ভিড়। পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। খবর পেয়ে সিআইডির ফরেনসিক টিমের সদস্যরা এসে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
পুলিশ জানায়, সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে স্বামী ইসমাত কাদির গামার সঙ্গে থাকতেন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। ইসমাত কাদির গামা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন, পুরো বাসা লণ্ডভণ্ড। তার স্ত্রী মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, মাহফুজা চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই বাসায় যে দুজন গৃহকর্মী ছিল তারা মাহমুদা চৌধুরীকে হত্যার পর মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বামী ইসমাত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। স্বজনেরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি। ঘটনার পর থেকে তারা দুইজন পলাতক রয়েছে। স্বজনেরা আরও জানান, নিহত মাহফুজা চৌধুরীর দুই সন্তানের একজন অভিক, যিনি সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরে মেজর হিসেবে যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত আর অন্য ছেলে অমিত ইউসিবিএল ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি ইন্দিরা রোডে থাকেন। স্বজনেরা জানান, মাহফুজা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে তিনি অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও আরও তিন বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে তিনি অবসর নেন। ৩৫ মিরপুর রোডে অবস্থিত সুকন্যা টাওয়ারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৬ তলার ডুপ্লেক্স ওই ফ্ল্যাটে অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বজনদের ভিড়। পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। খবর পেয়ে সিআইডির ফরেনসিক টিমের সদস্যরা এসে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ