আজকের শিরোনাম :

খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০২

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়েছিল।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট ওই রায় দেয়। এছাড়া এ মামলায় কারাবন্দী অপর দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ফলে তাদেরকে নিম্ন আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল থাকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ‘রায়ের অনুলিপি পেয়ে এখন আমরা আপিল বিভাগে আপিল করবো। আপিল বিভাগেই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।’

২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

এতে, এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা অনুদানের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

বিচার শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সম-অঙ্কে প্রদান করার কথা বলা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে নিম্ন আদালত বলেন, সরকারি এতিম তহবিলের টাকা এতিমদের কল্যাণে ব্যয় না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়াসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন।

এ মামলায় তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছর সাজা দিলেও মুখ্য আসামিকে কম দণ্ড দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিচারক বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ের পর থেকেই কারাবন্দী রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

নিম্ন আদালতের রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়ে খালেদাসহ কারাবন্দী তিন আসামি সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। এছাড়া এ মামলায় খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হওয়া সত্ত্বেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া অপর্যাপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে তা বৃদ্ধির দাবিতে দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে। পরে এসব আবেদনের শুনানি শেষে গত ৩০ অক্টোবর দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া সব আসামির আপিল খারিজ করে আদালত। ফলে অপর দুই আসামির ১০ বছর সাজাও বহাল থাকে।-ইউএনবি

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ