আজকের শিরোনাম :

মাদারীপুরে দুই পুলিশ হত্যায় ২০ জনের যাবজ্জীবন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪৯ | আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৪

মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক এবং প্রধান সহকারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সর্বহারা ও চরমপন্থি দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ৩ মাসের দণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত ওই দুই পুলিশ সদস্যের নাম এসআই মো. আবুল হাসনাইন আজম খান ও মো. কামরুল আলম খান ঠাকুর। 

তারা মাদারীপুর জেলায় ডিএসবির ডিআইও ও প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল তারা কর্মরত অবস্থায় সর্বহারা ডাকাত দলের সদস্য কর্তৃক খুন হন।

মামলার আসামিরা হলেন আব্দুল আজিজ ওরফে সামাদ খাঁ ওরফে সামাদ মেম্বার, জসিম শেখ, মাছিম শেখ, ছায়েদ মাতুব্বর ওরফে ছায়েদ, মজনু মাতুব্বর, সত্তার তালুকদার, শাহাদাত আকন, উজ্জ্বল হাওলাদার, জাফর মাতুব্বর, কুব্বাস মাতুব্বর, দবির মোল্লা, দাদন ফকির ওরফে দাদন টেইলার, মোশারফ হোসেন, মোতালেব মাতুব্বর ওরফে মোতালেব মেম্বার, আমির হোসেন শেখ, ফয়েজ শেখ, দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস, সুমন ওরফে শামীম, আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম বাবু ওরফে বাবুল, মোশারফ শেখ, আশ্রাব শরীফ, হালিম আকন, মিরাজ শিকদার, নজরুল ওরফে নুরুল ইসলাম, মাসুদ শিকদার, হেলাল শিকদার, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, এমো মোল্লা ওরফে হেমায়েত মোল্লা ওরফে মুন্সি মোল্লা, শওকত মোল্লা ওরফে সাগু মেম্বর, সুমন বাঘা ও আবুল কাশেম মোল্লা।

মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৪ জন বন্দুকযুদ্ধে এবং ২ জন বিচার চলাকালে মারা গেছেন। অপর আসামিদের মধ্যে ১৩ জন পলাতক, ১২ জন জামিনে এবং দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস কারাগারে আছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল ওই দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। তারা পুলিশ পরিচয় দিলে তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের মোটরসাইকেলসহ শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যায়। ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেল নদীতে ফেলে দেয়। এর পর প্রথমে কামরুলকে জবাই করে হত্যার পর তার মাথা কেটে হাসনাইনের হাতে দেয়। এর পর লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে নদীতে ছিটাতে ছিটাতে ট্রলারে এগিয়ে যায়। এরপর হাসনাইনকে একইভাবে হত্যা করে তার লাশও টুকরা টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়।

মামলাটি তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম আলা মোল্লা চার্জশিট দাখিল করেন। এর পর ২০০৮ সালের ৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ