আজকের শিরোনাম :

গ্যাটকো মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৫

গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক সৈয়দ গালিব আহমেদ ও সৈয়দ তানভীর আহমেদের দুর্নীতি মামলা বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে নিম্ন আদালতকে (বিচারিক আদালত) আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ রবিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্যদিকে সৈয়দ গালিব আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও সৈয়দ তানভীর আহমেদের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, আদালত আজ রুল খারিজ ও স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার রায় দিয়েছেন। এছাড়া আসামিদেরকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে (বিচারিক) আত্মসমর্পণ ও নিম্ন আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। ফলে খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলা নিম্ন আদালতে চলতে আর কোনো বাধা রইল না। এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল শুনানি শেষ হয়। আজ (রবিবার) রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি বাতিলের রুলনিশি জারি, মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও আসামিদের জামিন প্রদান করেন। যে কারণে দীর্ঘ ১০ বৎসর যাবত নিম্ন আদালতে (ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩) মামলার কার্যক্রম বন্ধ আছে।

তিনি আরও জানান, অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেডকে বেআইনি/দুর্নীতি/ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজটি পাইয়ে দিয়ে নিজ এবং অন্যদের লাভ/আর্থিক সুবিধা প্রদান করা করার মাধ্যমে সরকারের ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় খালেদা জিয়া, আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী আকবর হোসেন, তার ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন, সৈয়দ গালিব আহমেদ, সৈয়দ তানভীর আহমেদসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

পরে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ থাকায় বিশেষ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি করা সম্ভব হয়নি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ