আজকের শিরোনাম :

নিপুণ রায়সহ ৭ জন কারাগারে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৭ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৬

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

অপর ৬ আসামি হলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, মো. ইউনুস মৃধা (৬১), মো. আবুল হাশিম সবুজ (৪৮), মো. মামুন আর রশিদ (৩৮), মো. আমির হোসেন (৪০) ও মো. মহাসিন (৪৮)।

বৃহস্পতিবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।  এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।

অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।  উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৬ নভেম্বর বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার প্রত্যেকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৫ নভেম্বর রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয় হাইকোর্ট এলাকা থেকে।

অপরদিকে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেবী নাজনীন ও নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা করা হয়। তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

হুকুমের আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন।

দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই ১৪ নভেম্বর ওই সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।  অন্যদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানের নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।  একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া পাঁচজন অফিসার ও দুজন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ