আজকের শিরোনাম :

নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৩ জানুয়ারি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:১৫ | আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) এ মামলার অন্যতম আসামি মওদুদ আহমদের অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানির পর ঢাকার ৯ম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবির এ দিন ধার্য করে দেন।

গত ৮ নভেম্বর খালেদাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফিরিয়ে এনে দীর্ঘদিন পর নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু হয়। সেদিন মওদুদ আহমেদ তার অব্যাহতির আবেদনের ওপর নিজেই শুনানি শুরু করেন। বুধবারও তার বক্তব্য উপস্থাপন শেষ হয়নি।    

এদিন প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা যুক্তি উপস্থাপনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা মওদুদ নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ৩ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ দিতে বলেন।  

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের বাকি শুনানির জন্য নির্বাচনের পর ৩ জানুয়ারি দিন রাখেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩টি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকেই গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। টানা এক মাস ২ দিন বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর ৮ নভেম্বর তাকে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ