আজকের শিরোনাম :

যুদ্ধাপরাধ মামলায় দুই রাজাকারের মৃত্যুদন্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ২০:০৩

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই রাজাকারকে মৃতুদন্ড দিয়ে আজ রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আসামীরা হচ্ছেন-হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৩১২ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন করা হয়।
প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে আমরা আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

গত ১৬ আগষ্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলে মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এটি হবে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩৫ তম রায়।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এ দু’জনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ দ’ুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৮ মে এই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তখন থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।

সাত অভিযোগের মধ্যে অভিযোগ এক হচ্ছে-১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট চালিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করে। দুই ও তিন নম্বর অভিযোগ: একই এলাকার চন্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছে তারা। অভিযোগ চার. অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকান্ড চালায় তারা। অভিযোগ পাঁচ. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে অপহরণ এবং রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ ও হত্যা করেছে তারা। অভিযোগ ছয় ও সাত. অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যার অভিযোগ। বাসস। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ