খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হওয়ায় সাজা বেড়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৭
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হওয়ায় তাঁর সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ মামলায় নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে দেখা গেছে অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। তাই মুখ্য আসামি খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন করা হয়। আদালত আসামিপক্ষের সাজা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এবং দুদকের আবেদন গ্রহণ করে মুখ্য আসামির সাজা বাড়িয়ে দেন।’
রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এ মামলার রায়ের ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত। এই দণ্ড পরিবর্তন না হলে এবং তিনি খালাস না পেলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কোনও আসামি দুই বছর সাজা পেলেই তার কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। সে হিসেবে খালেদার সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা অথবা সাজা বাতিল করা হলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।১০ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৫ বছর বৃদ্ধির রায় দেন আদালত। নিম্ন আদালতে এই মামলায় ৫ বছর সাজা পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাজা কমাতে খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিদের আপিল এবং সাজা বাড়াতে দুদকের পক্ষ থেকে করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছর করেছেন।
অাজ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে এজলাসে বসেন বিচারকরা। এরপর মাত্র তিন মিনিটেই রায়ের মূল অংশটি পড়ে আদালতের কার্যক্রম শেষ করেন তারা। আদালত বলেন, আমরা রায়ের অপারেটিভ অংশ ঘোষণা করব।
রায় ঘোষণায় প্রথমেই খালেদা জিয়ার পক্ষে খালাস চেয়ে করা আবেদন এবং অন্য আসামিদের সাজা কমানোর দুই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। পরে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের করা রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে আদালত খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন।
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খানসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে সিনিয়র কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি