আজকের শিরোনাম :

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট

খালেদা জিয়ার অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণের আপিল শুনানি কাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৯

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অর্থের উৎসের বিষয়ে পরিষ্কার হতে অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার প্রথম দিনের শুনানি শেষে আগামীকাল এ বিষয়ে আবারও শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। দুদুকের পক্ষে  শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। 

গত ২৪ অক্টোবর চেম্বার জজ আদালত খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের ওপর দুদকের পক্ষে গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।

অন্যদিকে, এ মামলার ৩২ নম্বর সাক্ষী সাবেক রাষ্ট্রদূত খন্দকার আবদুস সাত্তারের অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য (মামলায় যে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকার উৎস জানতে) হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয় ২২ অক্টোবর।

ওই দিনই আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করার মৌখিক আদেশ দিয়ে বলেন, মূল মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে এ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। কিন্তু ২৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ওই আবেদনের বিষয়ে লিখিত আদেশ চান। আদালত আগের দিনের মতো একইভাবে মূল আপিলের ওপর শুনানি করতে বলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মূল আপিলের ওপর শুনানি না করে একজন সাক্ষীর অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে আবেদনের ওপর আদেশ চান।

এ বিষয়ে হাইকোর্ট লিখিত আদেশ না দিলে তারা আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরে আদালত মূল আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে এবং দুদকের আবেদনের ওপর দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। তাদের বক্তব্য শেষ হলে আদালত ওই দিনই অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে মূল আপিলের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৪ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে আবেদন করায় হাইকোর্ট ওই দিন কোনো আদেশ দেননি। পরবর্তী আদেশের জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় আপিল বিভাগ শুনানি শেষে কী আদেশ দেন, তা দেখে আজ সিদ্ধান্ত দেবেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে বিচার সম্পন্ন করার জন্য আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। ফলে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে হাইকোর্টের পরবর্তী কার্যক্রম।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন বিকেলে (৮ ফেব্রুয়ারি) নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ