পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সুমি খালাস
প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৮, ১৯:১৯
ঢাকা, ০৬ মে, এবিনিউজ : পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলাটিতে ৪৯ জন সাক্ষির মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এর আগে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক।
পরে ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট তার দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যান ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি পৃর্থক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেওয়া হয়।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি