আজকের শিরোনাম :

জাফরুল্লাহ'র বিরুদ্ধে সেনাসদরের করা জিডির তদন্ত শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০৪

সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে অসত্য বক্তব্যের অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা জিডির তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বলছে, আদালতের অনুমোদনক্রমেই তদন্ত করছেন তারা। তদন্ত শেষে তা আদালতকেই অবহিত করা হবে।

আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে বিষয়টি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার দিকে গড়াবে।

সম্প্রতি সময় টিভির এক টকশোতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার উৎস সম্পর্কে বলতে গিয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে গোলাবারুদ চুরি যাওয়ার কথিত অভিযোগ তোলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সেনাসদর থেকে এর প্রতিবাদ এবং নানা মহলের অব্যাহত সমালোচনার মুখে ৪দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে টকশোতে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেন টকশো 'র বক্তব্যে তিনি শব্দচয়নে ভুল করে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোর্ট অব ইনকোয়ারির জায়গায় কোর্ট মার্শাল হয়েছিলো বলেছিলেন।

সোমবার পাঠানো দ্বিতীয় দফা প্রতিবাদ লিপিতে আইএসপিআর বলছে, ভুল স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আবারো মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। সেনা প্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করেছেন।

গেলো শুক্রবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করে সেনাসদর। অভিযোগটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। 

ডিএমপির উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বলেন, 'স্বাভাবিকভাবে যখনই কোন আমলের অযোগ্য অপরাধ সম্পর্কে জেনারেল ডায়েরি হয় তখন পুলিশ আইনগতভাবে তদন্ত করতে পারে না। এখানে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই জিডির তদন্তের ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যেই অনুমোদন গ্রহণ করেছি।'

আইনজীবীরা বলছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়রিটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রূপান্তরিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম সরদার বলেন, 'জিডি থেকে এটা ননএফআইআর কেসও হতে পারে আবার এফআইআর কেসও হতে পারে। জিডির তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে এটার ভবিষ্যৎ কী হবে।'

বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই না জেনে তাদের সম্পর্কে অসত্য তথ্য দিলে তা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। আইনের চোখেও সেটি অপরাধের শামিল।

অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, 'দু'য়েকটা ছোট খাট ভুল হতে পারে কিন্তু যখন আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, পুলিশের প্রধান, উপাচার্য- এই সমস্ত বিষয়ে কথা বলি তখন একটা ভুল তথ্য অনেক বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। সুতরাং সেই জায়গাটা থেকে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।'

এদিকে সোমবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানায় ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের পর ডাক্তার জাফরুল্লাহ সাভারে গণস্বাস্থ্য ট্রাষ্ট গড়ে তোলেন। ৪০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার কর্মীদের সাথে জমি নিয়ে এলাকাবাসীর বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ