আজকের শিরোনাম :

এবার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৪

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর জমির বিরোধ, চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও হত্যার হুমকির অভিযোগেও মামলা হয়েছে।

আশুলিয়ার পাথালিয়ায় জমি বিক্রিতে বাধ্য করার চেষ্টা এবং এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি সোমবার রাতে মামলাটি করেন।

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হক জানান, এ মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাফরুল্লাহসহ মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাফরুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয় সাভারের আশুলিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত। মামলার এজাহারে বাদী মোহাম্মদ আলী বলেন, পাথালিয়া মৌজার প্রায় ৪ একর ২৪ শতাংশ জমি জাফরুল্লাহসহ আরও দুজন ২০০৩ সালে কিনেছিলেন। ওই জমি নেওয়ার জন্য জাফরুল্লাহ ও তার লোকজন আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। তারা নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রির জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি আমার জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।

আলী বলেন, তারা আমাদের জমি থেকে জোর করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়ে গেছে। তাদের অত্যাচারে আমি এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ জন্য আমার বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছে। এসব ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় আগে একাধিক জিডি করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর এক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এজাহারে বলা হয়, ওইদিন সকালে মোহাম্মদ আলী ও তার শরিক আনিছুর রহমান জমিতে থাকাবস্থায় জাফরুল্লাহর সহযোগী দেলোয়ার হোসেন (৫৭), সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) এবং আওলাদ হোসেন (৪৮)সহ ৩/৪ জন জমিতে ঢুকে জানায়, তারা জাফরুল্লাহর নির্দেশে এসেছে।

তারা জমি তাদের কাছে বিক্রির জন্য বলে। সেই সঙ্গে বলে, এই জমি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পূর্বে না দেওয়ার কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা হুমকি দেয় এবং জমির কাঁটাতারের বেষ্টনি, সাইনবোর্ড ও একটি গেইট ভাঙচুর করে।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক সেনা কর্মকর্তার করা সাধারণ ডায়েরিটি (জিডি) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। সোমবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, জিডিটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর একটি বেসরকারী টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার সেনা সদরের পক্ষ থেকে এ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ