ন্যায় বিচার পাইনি, উচ্চ আদালতে যাব : সানাউল্লাহ মিয়া

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের সাজার রায়ে ন্যায় বিচার পায়নি বলে দাবি করেছেন দলের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। যে মামলায় তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার কথা সেখানে সাজা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি, উচ্চ আদালতে যা।

আজ বুধবার রায় ঘোষণার পর নাজিমুদ্দিন রোডের আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানসহ বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের যে  রায় দেওয়া হয়েছে তার কোনো সাক্ষী ছিল না। হাওয়া ভবন ও পিন্টুর বাসা থেকে কেউ এসে সাক্ষী দেয়নি। রিমান্ডে মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, সেই জবানবন্দি প্রত্যাহার করে বলেছে। এতে তার সঙ্গে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুফতি হান্নানের সঙ্গে তারেক রহমানের কোনো দিন দেখাই হয়নি। অথচ আজকে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বহু নেতাসহ আব্দুস সালাম পিন্টুকে ফাঁসি দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের খালাস দেওয়া হবে। কোনো সাক্ষী বলে নেই তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করেছে। অথচ অন্যায়ভাবে তাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসলে তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে ওই হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এ ছাড়া এ মামলার আসামি ১১ সরকারি কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আজ বুধবার সকালে আলোচিত ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম