আজকের শিরোনাম :

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৫ | আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৭

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত রিটকারীদের দরখাস্ত নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

৪৫ দিনের মধ্যে এটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৪ অক্টোবর) হইকোর্টের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানে ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।  

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। 

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ২০১০ সালে সরাসরি নিয়োপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অপেক্ষাকৃত কম বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্যে দূর করতে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২০১০ সালে কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল হচ্ছে ১৩০৫০ টাকা ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩৭১০ টাকা। যে কারণে প্রতিবছর বেতন নির্ধারণের সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বৈষম্যর শিকার হন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ