আজকের শিরোনাম :

সস্ত্রীক জামিন পেলেন কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৩৬

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। তারা হলেন, মো. মাসুম পাঠান, মেয়ে খালেদা পরভীন ও তাসনীম কেয়া।

জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, এ কে এম ফজলুল হক, ওমর ফারুক ও আসিফ হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। যাতে তারা বিদেশ যেতে না পারে। এছাড়া তাদের সন্তানদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ