আজকের শিরোনাম :

পরীমণির রিমান্ড নিয়ে ২ বিচারকের ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০৬

মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা দুই বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
পরীমণির রিমান্ডের নেওয়ার বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের হাজিরা ও বিচারকদের ব্যাখ্যার বিষয়ে শুনানিকালে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

আদালতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দাখিলকৃত ব্যাখ্যা পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট বলেন, দুই বিচারক কী ব্যাখ্যা দিয়েছে তা একটু শোনাতে চাই। ‘রাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। অত্র মামলার আসামি সামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি বিদেশি মদ, এলএসডি আইসসহ গ্রেফতার হন।’ এ সময় আদালত জানতে চান এলএসডি বিদেশি মাদক রাখার সাজা কত বছরের? 

জবাবে আইনজীবীরা বলেন, ৫ বছর।

তারপর হাইকোর্ট বলেন, তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন এবং আমাদের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে। তাদের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট নই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ কারণে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাখলাম। তদন্ত কর্মকর্তা সিডি (মামলার নথি) দাখিল করেছে। সেটি আমরা গ্রহণ করেছি।

হাইকোর্ট বলেন, বিচারকরা ব্যাখ্যায় বলছে উপরোক্ত বিষয়ে সার্বিক বিবেচনায় আমি দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করি। অত্র আদেশের ক্ষেত্রে কোনোরূপ ত্রুটি-বিচ্যুতি নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত এবং সরল বিশ্বাসে কৃত ভুল।

আদালত বলেন, ওনাদের (বিচারকদের) ত্রুটি হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন না। তার মানে হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে।

এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এ সংক্রান্ত নথি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, মো. মুজিবুর রহমান, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ