জিয়া চ্যারিটেবল মামলা
আদালতে যেতে খালেদা জিয়ার অস্বীকৃতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:২০ | আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:২৭
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে অস্থায়ী আদালতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রধান আসামির অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচার চলতে পারে কিনা, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারক
আজ বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান আদালতে যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন। এ দিন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে কি না, সে বিষয়েও শুনানি হবে।
আদালত দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে। মুলতবি ঘোষণার আগে বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমার কাছে একটি চিঠি এসেছে। এতে খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি আর আদালতে আসবেন না।’ এ অবস্থায় প্রধান আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে কি না, সে ব্যাপারে আইনগত ব্যাখ্যা হাজির করার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও আমিনুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল। এ কারাগারেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আজ ছিল কারাগার চত্বরে বসানো আদালতে মামলার কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন। এ দিন শুরুতেই বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের আইনগত বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এ ধরনের আদালত সংবিধানসম্মত নয় উল্লেখ করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান সানাউল্লাহ মিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘কারাগার চত্বরে আদালত চলতে পারে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। এখানে আদালত চালানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই। তাই এখানে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না।’ এ সময় তিনি আদালতের স্থান অন্যত্র নির্ধারণেরও দাবি জানান। একপর্যায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা একই সঙ্গে কারাগার চত্বরে বসানো আদালতকে সংবিধান পরিপন্থী বলছেন, আবার একই আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদনও করেছেন। যদি ওই আদালত অসাংবিধানিক হয়, তাহলে কেন এখানে জামিন বাড়ানোর আবেদন করেছেন?’ তিনি মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কাস্টডিতে আছেন। কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করার দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের। জেল কর্তৃপক্ষ তাকে হাজির করবেন, মাননীয় আদালত তার বিচার করবেন। সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া যদি না আসেন, তিনি যদি অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, আমরা বলেছি, তার অনুপস্থিতিকে উপস্থিতি হিসেবে ধরে নিয়ে মামলার আইনগত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।’ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এ ছাড়া দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এবিএন/সাদিক/জসিম
আজ ছিল কারাগার চত্বরে বসানো আদালতে মামলার কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন। এ দিন শুরুতেই বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের আইনগত বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। এ ধরনের আদালত সংবিধানসম্মত নয় উল্লেখ করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান সানাউল্লাহ মিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘কারাগার চত্বরে আদালত চলতে পারে না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। এখানে আদালত চালানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই। তাই এখানে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না।’ এ সময় তিনি আদালতের স্থান অন্যত্র নির্ধারণেরও দাবি জানান। একপর্যায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা একই সঙ্গে কারাগার চত্বরে বসানো আদালতকে সংবিধান পরিপন্থী বলছেন, আবার একই আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদনও করেছেন। যদি ওই আদালত অসাংবিধানিক হয়, তাহলে কেন এখানে জামিন বাড়ানোর আবেদন করেছেন?’ তিনি মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কাস্টডিতে আছেন। কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করার দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের। জেল কর্তৃপক্ষ তাকে হাজির করবেন, মাননীয় আদালত তার বিচার করবেন। সে ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া যদি না আসেন, তিনি যদি অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, আমরা বলেছি, তার অনুপস্থিতিকে উপস্থিতি হিসেবে ধরে নিয়ে মামলার আইনগত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।’ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এ ছাড়া দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ