মোহাম্মদপুরের ১৪ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরের বাবর রোড ও খিলজি রোডে অবস্থিত অবৈধ/লাইসেন্সবিহীন ১৪ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

একই সঙ্গে আদেশে রুল জারি করা হয়েছে। লাইসেন্সহীন এসব হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর এসব তথ্য জানান তিনি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীত বাবর রোড ও খিলজি রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সহীন এসব হাসপাতালের খবর গত এপ্রিলে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আইন অনুসারে লাইসেন্স বিহীন হাসপাতাল পরিচালনা অবৈধ। তা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য। এ কারণে জনস্বার্থে গত ৯ সেপ্টেম্বর আমরা একটি রিট মামলা করি। আজকে এর ওপর শুনানি হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ১৪টি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ‘রাজধানীতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান : ৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশ দেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মোহাম্মদপুরের বাবর রোড, খিলজি রোড ও হুমায়ুন রোডের অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতাল কার্যক্রম চালাচ্ছে লাইসেন্সের এসব শর্ত পূরণ ছাড়াই। শর্ত পূরণ না হওয়ায় লাইসেন্সও নবায়ন হয়নি। ফলে অবৈধ হয়ে পড়েছে এসব হাসপাতাল। এই তিন সড়কের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যেই যার সংখ্যা ১৪। আর লাইসেন্স রয়েছে এমন হাসপাতালসহ এ সংখ্যা ২৬।’

এতে হাসপাতালগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে- জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল, বিডিএম হাসপাতাল, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতাল, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, মনমিতা মানসিক হাসপাতাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মানসিক হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েলকেয়ার হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

এবিএন/সাদিক/জসিম