বাবরের পক্ষে আইনি যুক্তি উপস্থাপন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৪৭
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে আইনগত বিষয়ে আংশিক যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আইনজীবী। মঙ্গলবার কারাগারে থাকা বিএনপির এই নেতা পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি দেশের প্রচলিত আইন ও দেশ-বিদেশের উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের আলোকে এই যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এর আগে এদিন বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের এ মামলার অস্থায়ী ট্রাইব্যুনালে এ আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বেলা ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত যুক্তি গ্রহণের পর বুধবার পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি করেন।
এর আগে আসামি বাবরের পক্ষে ফ্যাক্টের উপর আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম ৮ কার্যদিসব যুক্তি উপস্থাপন করেন।
মঙ্গলবার যুক্তি উপস্থাপনে আইনজীবী শাহজাহান দেশের প্রচলিত আইন ও দেশ-বিদেশের উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরে বলেন, একটি মামলা অধিকতর তদন্তে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন করতে পারেন। কিন্তু এই মামলার ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এই আবেদন করেছেন। তাও তারা করতে পারতেন যদি ৬১ জন সাক্ষীর কেউ প্রথম চার্জশিটের বাইরে থাকা কোন ব্যক্তির নাম বলতেন। তাও এখানে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আসামি বাবরকে এই মামলায় অভিযুক্ত করতে রাষ্ট্রপক্ষ ৩ জন পুলিশি সাক্ষী, একজন পাবলিক সাক্ষী এবং মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তুলে ধরেছেন। তিনজন পুলিশি সাক্ষী কিছুই প্রদান করতে পারেন নাই। পাবলিক সাক্ষী মাওলানা রশিদ আদালতে সাক্ষ্যই দিতে আসেন নাই। আর মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তি এবং সাক্ষী দ্বারা সমর্থনযোগ্য না হওয়ায় আসামি বাবরকে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি যেভাবে করা হয়েছে তাও আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি একবার স্বীকারোক্তি করার পর দ্বিতীয়বার এভাবে স্বীকারোক্তি করতে পারেন না।
আসামি বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন বলেন, আপনারা আইনগত বিষয়ে যেসব যুক্তি উপস্থাপন করবেন তা মামলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান ও মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আসামি বাবরের আইনজীবী যেসকল যুক্তি ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার উপস্থাপন করেছেন তাতে আমরা একমত নই। মামলা অধিকতর তদন্তে যাওয়া ও মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি সবই আইন সংগতভাবে হয়েছে। যা আমরা ট্রাইব্যুনালে যুক্তি উপস্থাপনে প্রমান করেছি। উল্লেখ্য, মামলাটিতে আইনগত বিষয়ে আসামি বাবরসহ অন্যান্য আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষে শেষ হলেই ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন ঠিক হবে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটিতে ২৫ কার্যদিবস যুক্তি উপস্থাপনের পর গত ১ জানুয়ারি তা শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ সরকারি কর্মকর্তার ৭ বছর কারাদণ্ড দাবি করেন। এরপর আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত আসামি পক্ষ ৮৭ কার্যদিবস যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন। এবিএন/মমিন/জসিম
মঙ্গলবার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান ও মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আসামি বাবরের আইনজীবী যেসকল যুক্তি ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার উপস্থাপন করেছেন তাতে আমরা একমত নই। মামলা অধিকতর তদন্তে যাওয়া ও মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি সবই আইন সংগতভাবে হয়েছে। যা আমরা ট্রাইব্যুনালে যুক্তি উপস্থাপনে প্রমান করেছি। উল্লেখ্য, মামলাটিতে আইনগত বিষয়ে আসামি বাবরসহ অন্যান্য আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষে শেষ হলেই ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন ঠিক হবে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটিতে ২৫ কার্যদিবস যুক্তি উপস্থাপনের পর গত ১ জানুয়ারি তা শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ সরকারি কর্মকর্তার ৭ বছর কারাদণ্ড দাবি করেন। এরপর আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত আসামি পক্ষ ৮৭ কার্যদিবস যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন। এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ