আজকের শিরোনাম :

ডাকসু নির্বাচন

ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমামনার নোটিশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১৭ | আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৮

হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালটির ভিসি ড. মো. আক্তারুজ্জামানসহ ৩ জনকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ পাবেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অন্য দুজন হলেন- ঢাবির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নোটিশপ্রাপ্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু ওই নির্দেশনা অনুসারে ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠান আইন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।

হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে ওই রুলের জবাব দেয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালের পর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যথাসময়ে নির্বাচন করার নির্দেশনা চাওয়া হয় এই রিট আবেদনে।

এতে আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরবর্তী তিনমাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেয়া হয়।

ডাকসু বিধান অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের এ ব্যর্থতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ