সাকিব পূজায় না মসজিদে যাবে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার: হাইকোর্ট

কলকাতায় গিয়ে কালীপূজার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকির ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

মাস চারেক আগের কথা। কলকাতায় কালিপূজার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করায় দেশজুড়ে সমালোচনার শুরু সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। এমন কি হত্যার হুমকিও দিয়ে বসেন সিলেটের এক যুবক।

অবশ্য এমন কান্ডের পরদিনই গ্রেপ্তার হন মহসীন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি। চার মাস পর তার জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারক ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মত প্রকাশ করেন।

আদালত বলেছেন, একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার কালীপূজায় নাকি মসজিদে যাবে, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এজন্য তো তাকে কেউ হত্যার হুমকি দিতে পারে না। সাকিবকে হত্যার হুমকির ঘটনায় হওয়া মামলার আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

একই সঙ্গে আসামি মহসীন তালুকদারকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাম্মদ বশির উল্লাহ। 

দেশ-বিদেশে আলোড়ন তোলা ঐ ঘটনার পর সাকিব নিজেও এসেছিলেন ফেইসবুক লাইভে। সেখানে কালীপূজায় গিয়ে কোন মুসলমানের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান।

২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ১২টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক লাইভে এসে চাপাতি দেখিয়ে সাকিবকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয় মহসীন তালুকদার নামের ওই যুবক। কলকাতায় গিয়ে কালীপূজার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার অভিযোগ তুলে এ ক্রিকেট তারকাকে এ হুমকি দেয়া হয়। পরে গত ১৭ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হুমকিদাতা মহসীন তালুকদার সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামের আজাদ বক্সের ছেলে।

ফেইসবুক লাইভে সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ছাড়াও তাকে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে গালিগালাজ করে মহসীন। সেলফি তোলা নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের খারাপ আচরণের প্রসঙ্গ তুলেও গালিগালাজ করে সে। তবে ১৬ নভেম্বর সকালে ফের লাইভে এসে আগের লাইভের কথাগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মহসীন তালুকদার।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি